Tuesday, 28 January 2020

করোনা ভাইরাস কি ও আমাদের করনীয়.....:-


করোনা ভাইরাস কি ও আমাদের করনীয়...

যেসব ভাইরাস গুলো RNA দিয়ে তৈরী, তারা কুখ্যাত চরিত্রের হয়ে থাকে , যেমন- HIV, Hepatitis C, Influenza, Rabies, Ebola, Dengue, Polio ইত্যাদি। সম্প্রতি এই দলে যোগ হয়েছে নতুন নাম- Corona Virus.. এই করোনা ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে চায়না তে ২০০২ সালে ।

এই ভাইরাসের স্ট্রাকচার দিয়েই এর নামকরণ করা হয়েছে । এদের গায়ে চারিদিকে ব্যাঙের ছাতার মত Halo (Corona) সাজানো থাকে । এর ভিতরে একটা Single stranded RNA থাকে । এটার দুইটা সাবটাইপ আছে- 229E এবং OC43.

আমাদের যে কমন কোল্ড হয় Rhinovirus দিয়ে, করোনা ভাইরাস দিয়েও একই রকম কমন কোল্ড হয়, কিন্তু সিরিয়াস ফর্মে গেলেই Atypical Pneumonia এর রূপ ধারন করে । যাকে Severe Acute respiratory syndrome বা SARS বলে। তাই অনেকে একে সার্স ভাইরাসও বলে থাকে । এই ভাইরাস ছড়ায় বাতাসে শ্বাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে । শীতকালেই এর প্রকোপ দেখা যায়। ধরে নেয়া হয়- বাদুর এই ভাইরাসের একমাত্র রিজার্ভার ।

২০০২ সালের পর ২-৩ পর পর ছোট খাটো আক্রমণ এই ভাইরাস চায়নার আশে পাশে করেছে । ২০২০ সালের মহামারীর পূর্বে প্রায় ৮৫০০ জন করোনা ভাইরাসের রোগী সনাক্ত হয়েছিল। তার মধ্যে মারা গিয়েছিল প্রায় ৮০০ জন (প্রায় ১০% fatality).

২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যে (বিশেষ করে সৌদি আরবে) এই ভাইরাসের এক মহামারী দেখা গিয়েছিল, তাকে বলা হতো মার্স করোনা ভাইরাস (Middle East respiratory syndrome Corona virus).

এই ভাইরাসের ইনফেকশনে ৫০% মানুষের কোনো সিম্পটমই প্রকাশ পায় না । অনেক সুস্থ্য বাচ্চাদের শরীরে এই ভাইরাসের এন্টিবডি তার উপযুক্ত প্রমাণ। এটার ইনফেকশন মূলত ফুসফুসের Epithelium কেন্দ্রিক, এর বাইরে অন্য অর্গান আক্রান্ত হয় না । শরীরে ভাইরাসের Incubation period ৩ থেকে ১০ দিন।

রোগের সিম্পটম – নাক দিয়ে পানি পড়া, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা । আর সিরিয়াস ফর্মে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট ।  Respiratory mucosa তে Edema তৈরি করে, যার ফলে অক্সিজেন নিতে পারে না ঠিক মত। যার ফলে Severe Hypoxia দেখা যায় । যে Patients গুলো মারা যায় তার কারন হলো - Refractory Hypoxemia. এই ভাইরাস ফুসফুসের Angitensin Converting Enzyme-2 এর সাথে বাইন্ড করে থাকে , যার ফলে Fluid Balance Dysregulation হয়।

SARS  রোগে Chest X-ray করলে Ground Glass Infiltration পাওয়া যায়,কিন্তু কোন Cavitations পাওয়া যায় না। Blood এ WBC, Platelet Count কমে যায়। PCR অথবা Antibody Test দিয়ে এই রোগ  Confirm করা যায়।

Corona SARS virus এর চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয় নাই। Symptomatic Treatment বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অকার্যকর। রিবাভিরিন-স্টেরয়েড কম্বিনেশন ইউজ করা যেতে পারে।
Corona SARS প্রতিরোধ ই এর প্রধান চিকিৎসা। সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা জরুরী, সাথে সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা।
সন্দেহ জনক সার্স আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঠাণ্ডা জনিত রোগ যেমন -জ্বর, কাশি, সর্দি শ্বাস কস্ট ইত্যাদি হলে দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা নিতে হবে। যেসব দেশে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে সেই সব দেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকা অথবা যারা ওই সব দেশ থেকে আসে তাদেরকে ভালো ভাবে পরিক্ষা করা ও চিকিৎসা করা। Globalisation এর যুগে রোগ Pandemic  হতে সময় লাগে না। তাই সবার সচেতনতায় পারে Corona virus এর ছোবল থেকে সবাইকে রক্ষা করতে।

জনস্বার্থে
ইউনিক ফার্মা

No comments:

Post a Comment

EID MUBARAK